1. admin@protidinervor.com : admin :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ন

চিতলমারীর মধুমতির তীরে বাঙ্গির বাম্পার ফলন, চাষিদের মুখে হাসি

আব্দুল্লাহ সরদার, স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার দক্ষিণ শৈলদাহ মধুমতি নদীর তীরজুড়ে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে বাম্পার ফলন হয়েছে বাঙ্গির। সবুজ ক্ষেতের লতা-পাতার মাঝে সোনালি রঙের বাঙ্গি যেন প্রকৃতির শোভা বাড়িয়েছে। চলতি মৌসুমে এই ফলের চাহিদা ও দাম দুটোই বেশি হওয়ায় চাষিদের মাঝে আনন্দের জোয়ার।

কলাতলা ইউনিয়নের শৈলদাহ গ্রামের নারী কৃষক কবিতা রানী ঘরামী জানান, মধুমতির চরে বাঙ্গির ব্যাপক ফলন হওয়ায় তিনি দারুণ খুশি। প্রতিদিন তিনি পাকা বাঙ্গি তুলে বাজারে পাঠাচ্ছেন। বাজারের চড়া দামে তিনি লাভবান হচ্ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষিদের মতে, বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বড় আকারের একটি বাঙ্গি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মাঝারি আকারেরটি ২০০ টাকা এবং ছোট আকারের বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস এবং গ্রীষ্মের গরমে বাঙ্গির চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সিফাত আল মারুফ জানান, চলতি মৌসুমে চিতলমারী উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে বাঙ্গি চাষে আরও বেশি আগ্রহ তৈরি হবে।

বাঙ্গির পুষ্টিগুণও উল্লেখযোগ্য। এতে রয়েছে প্রচুর শর্করা, খনিজ, মিনারেল, ভিটামিন-এ এবং সি। বাঙ্গি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী, কারণ এতে সুগারের পরিমাণ কম। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গি তরমুজের পর অন্যতম ফল।

চিতলমারীর এই বাম্পার ফলন এবং বাজার দর চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, সরকারি সহযোগিতা এবং বাজারে আরও সুবিধা পেলে তারা ভবিষ্যতে আরও বড় আকারে বাঙ্গি চাষ করতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগোরির আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2025