ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয়ে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ছয়তলা বাড়ি দখলের ঘটনায় মুচলেকার মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছেন মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি।
তিনি ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষকে সেখানে আবাসনের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িটি দখলমুক্ত করে।
কী ঘটেছিল? :
শনিবার (৮ মার্চ) রাতে মিস্টিকে মুচলেকা দিতে বাধ্য করা হয়। এতে তিনি স্বীকার করেন,
আইনি অধিকার ছাড়া অন্যের বাড়ি দখল করা ছিল বেআইনি ও ভুল সিদ্ধান্ত।
তার কর্মকাণ্ডে সামাজিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশাসনের পদক্ষেপ :
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালায়। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্র প্রতিনিধিদের প্রতিক্রিয়া :
এ ঘটনায় বিভিন্ন ছাত্র প্রতিনিধি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মিস্টির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন। তারা চাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ব নারী দিবস ও রমজান মাসের কথা বিবেচনায় প্রশাসন তাকে ভুল সংশোধনের সুযোগ দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।