আজ মঙ্গলবার দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু, যমুনা নদীর উপর নির্মিত অত্যাধুনিক ডাবল লেনের রেল সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি উদ্বোধন করেন।

যোগাযোগের নতুন দিগন্ত

সাড়ে তিন মিনিটের মধ্যেই যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করতে পারবে ট্রেন, যা ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের রেল যোগাযোগ আরও দ্রুততর করবে। নতুন এই সেতুটি সরাসরি ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগকে সুসংহত করবে। যাত্রীরা সেতুর উদ্বোধনে সন্তুষ্ট হলেও ডাবল লেনের সুবিধা পুরোপুরি পেতে সিঙ্গেল লেন ব্যবহারের কারণে কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।

সেতুর স্থাপত্য ও পরিকল্পনা

সেতুটি ৫০টি পিলার এবং ৪৯টি স্প্যানের ওপর নির্মিত। এটি যমুনা বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে অবস্থিত। দৈর্ঘ্যে এটি দেশের দীর্ঘতম রেল সেতু এবং এর উপর দিয়ে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে চলাচল করতে পারবে।

সুযোগ ও সীমাবদ্ধতা

রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেললাইন তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

তিনি আরও বলেন, “যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় ট্রেন চলাচলে সময় সাশ্রয় হবে। তবে ডাবল লেন চালুর আগ পর্যন্ত পুরো সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে না।”

আধুনিকতার ছোঁয়া

১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতু চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ধীর গতিতে চলাচল করত। নতুন সেতুর মাধ্যমে একই রুটে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও গতির উন্নয়ন সম্ভব হবে।

ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

ডাবল লেনের কাজ সম্পন্ন হলে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এর মাধ্যমে ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রেলপথে যোগাযোগ আরও দ্রুত এবং সুবিধাজনক হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন সেতুর উদ্বোধন দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।