খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে আলোচিত তাজকির আহম্মেদ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, তাজকির আহম্মেদ ঢাকা থেকে খুলনায় এসে মামাতো ভাই আসিফ মাহমুদের বাড়ি যান। সেখান থেকে প্রেমিকা সীমার আমন্ত্রণে তিনি বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন তার মামাতো ভাই আসিফ খালিশপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ জানায়, তাজকিরের প্রেমিকা সীমা সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই রনির শ্যালিকা। সীমার প্রাক্তন স্বামী অভি ও তাজকিরের মধ্যে একটি ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়, যা সীমা গোপন রেখেছিলেন। এ সম্পর্ক নিয়ে অভি ও সীমার মধ্যে ঝগড়া হলে অভি প্রতিশোধ নিতে সীমার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তাজকিরকে খুলনায় আসতে বলেন।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, অভি তার সহযোগীদের নিয়ে তাজকিরকে অপহরণ করেন। পরে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ একটি বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সীমা, লাবনী বেগম, শহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার এম এম শাকিলুজ্জামান জানান, অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হয়েছে। তদন্তে প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে।
তাজকির হত্যার সঙ্গে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের অতীত অপরাধমূলক কার্যক্রম যাচাই করা হচ্ছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সবসময় সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এ নির্মম হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জনগণের প্রত্যাশা, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে।