স্থানীয় সূত্র এবং থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, কাফি খান দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ৬২ কাঠা জমির মালিকানা এবং আরও প্রায় ৫০ কাঠা জমি লিজ নিয়ে বিলটিতে মৎস্য চাষ পরিচালনা করে আসছেন। বিভিন্ন প্রজাতির বড় আকারের রুই, কাতল, মিগেলসহ আরও অনেক প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিলেন তিনি।
তবে সম্প্রতি স্থানীয় বিদ্যুৎ সরকার (৪০), মিঠুন সরকার (৩২), মোঃ সোহেল সরকার (৫০) এবং জহুরুল সরকার (৫৮) বিলটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা খামারের মাছ আহরণে বাধা প্রদান করেন, খামারের অফিস ঘরে তালা লাগিয়ে সেটি দখল করে নেন এবং স্যালো পাম্পে আগুন ধরিয়ে দেন।
গত দুই দিন আগে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বিলের পানিতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে বিলের সব মাছ মরে পানির ওপরে ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা এসব মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক কাফি খান জানান, এ ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফিশারির ম্যানেজার বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ সরকার এবং তার সহযোগীরা খামারের অফিস দখল করে তাকে বের করে দেন। এরপর খামারের বিভিন্ন জিনিসপত্রও দখল করেন। বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে তারা খামার ধ্বংস করে দিয়েছেন বলে তার দাবি।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য লেভি ও লিপি জানান, বিদ্যুৎ এবং মিঠু গং কাফি খানকে সর্বস্বান্ত করে পথে বসিয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল হুদা খান জানান, “অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।