গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় গ্রামবাসী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে মুন্নু ও চুন্নুর বিরুদ্ধে মাদরাসার ফান্ড থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা আত্মসাতের এবং টাকার বিনিময়ে তিনজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পাপন সিকদার, মির্জা রিপন, আঃ রহিম এবং ইউপি সদস্য আবুল হোসেনসহ এলাকাবাসী সরেজমিনে জানান, সাবেক সভাপতি মুন্নুর সহযোগিতায় চুন্নু মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিজের বাড়িতে রেখেছেন এবং স্বেচ্ছাচারীভাবে পরিচালনা করেছেন।
মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির প্রতিনিধি মির্জা রহমত উল্লাহ জানান, গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হওয়ায় তিনি কিছুই জানতেন না। মুন্নু, চুন্নু এবং তাদের আরেক ভাই পান্নু একত্রে মাদরাসার অর্থ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন।
সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ ও মাদরাসার পুরাতন ঘর বিক্রির টাকা মাদরাসার ফান্ডে জমা না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছেন।
মাদরাসার সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “অতি প্রয়োজনীয় নথিপত্র সাবেক সভাপতি ও চুন্নুর কাছে রয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনায় নানা সমস্যা হচ্ছে।”
টাঙ্গাইল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, অভিযোগটি পেয়েছেন এবং প্রমাণ সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুন্নু ও মুন্নু পলাতক থাকায় মাদরাসার কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।