আলাউদ্দিন এবং তার সহযোগী মো. পারভেজ কুমিল্লা জেলা আদালতে ভুয়া চুক্তিনামা জমা দিয়ে মাদকসহ আটককৃত একটি প্রাইভেট কার ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাড়িটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ-২৯১২০২। স্থানীয় সূত্র জানায়, আদালতে জমা দেয়া দলিলটি ভুয়া, এবং এটি মূলত গাড়ি ক্রয়ের একটি মনগড়া চুক্তিনামা।
বিশেষ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আলাউদ্দিন বিভিন্ন সময় ভুয়া সাংবাদিকতার পরিচয়ে মাদক কারবার এবং চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। কখনো সাংবাদিক, কখনো সাংবাদিকের ভাই পরিচয়ে প্রশাসন এবং সরকারি দপ্তর থেকে সুবিধা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, আলাউদ্দিন সাবেক এমপি বাহারের ঘনিষ্ঠতার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দপ্তর এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে আসছেন।
আলাউদ্দিন এবং মো. পারভেজের সহযোগিতায় ফয়সাল মিয়া নামে এক মাদক কারবারি চাঁদাবাজি ও গাড়ি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ করছে বলে জানা গেছে। ফয়সাল মিয়া মাদক মামলার পলাতক আসামি হয়েও বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন, প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড কীভাবে সম্ভব?
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলাউদ্দিন এবং তার সহযোগীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে নিয়মিত ফন্দি আঁটছেন।
আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ থাকার পরও কেন প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তার ক্ষমতাধর পরিচয়ের আড়ালে কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অসহায়?
অনুসন্ধান চালিয়ে জানা গেছে, আলাউদ্দিন এবং তার সহযোগীরা ভুয়া সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন।
এই ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।