
এনবিআরের ইতিহাসে এবারই প্রথম একসঙ্গে এত কর কর্মকর্তাকে বদলি করা হলো। বদলি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বিসিএস (কর) একাডেমির পরিচালক হাফিজ আল আসাদ, নরসিংদী কর অঞ্চলে যোগ দেওয়া শেখ শামীম বুলবুল, নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলে ছায়িদুজ্জামান ভুঞা, গাজীপুর কর অঞ্চলে বেগম হাসিনা আক্তার খান, ঢাকার কর অঞ্চল–৬–এ মর্তুজা শরিফুল ইসলামসহ আরও অনেকে। ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহী ও দিনাজপুরের বিভিন্ন কর অঞ্চল, আপিল অঞ্চল ও বৃহৎ করদাতা ইউনিটে এ কর্মকর্তাদের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
কর কর্মকর্তারা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে এনবিআরের ভেতরে চলা আন্দোলনের জের ধরেই এই বড় পরিবর্তন আনা হলো। গত মে ও জুন মাসে আন্দোলনের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত দেড় মাসে প্রহরী থেকে শুরু করে সদস্য পদ পর্যন্ত মোট ৩৬ জন কর্মকর্তা–কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত হন।
সবশেষ গত সোমবার (১৮ আগস্ট) একযোগে নয়জন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে এনবিআর। তাদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও সুলতানা হাবীব, যুগ্ম কর কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন খান ও মামুন মিয়া, সিআইসির পরিচালক চাঁদ সুলতানা চৌধুরানী, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, মোংলা কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার আবুল আলা মোহাম্মদ আমীমুল ইহসান খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমির যুগ্ম কমিশনার সানোয়ারুল কবির ও খুলনার কাস্টমস কমিশনারেটের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম।
এই বরখাস্তের পরের দিনই ঘটলো ৪১ কর্মকর্তার একযোগে বদলির ঘটনা, যা প্রশাসনিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।